বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৫ অপরাহ্ন
ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন পর্ব –
প্রতিবেদক টিম – ঢাকার উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত , উত্তরা ওমেন্স মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে চলছে জামায়াতপন্থী অধ্যক্ষ রওশন আলী ও তার সহযোগীদের কোটি-কোটি টাকার অবৈধ ভর্তি বাণিজ্য এবং দূর্নীতি । আমাদের অনুসন্ধানে সাম্প্রতি ২০১৯/২০ শিক্ষবর্ষে ছাত্রী ভর্তির নেপথ্য থেকে বেড়িয়ে এসেছে এমন অবৈধ ভর্তি বাণিজ্য ও দূর্নীতি ।
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং – ১
গত ২রা ডিসেম্বর সকাল ১০ টা ৩০ মিঃ । উত্তরা মহিলা মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতাল সংক্ষেপে ( UWMC&H ) এর সামনে চায়ের দোকানে উচ্চস্বরে ভত্সনা করতে শোনা যায় জনৈক ভর্তিইচ্ছু ছাত্রীর অভিবাবককে । ” ভর্তির ডেট পেপারে দিয়েছে ১ লা ডিসেম্বর থেকে ৫ ই ডিসেম্বর , ভর্তি নাকি ১ তারিখেই শেষ হয়ে গেছে । ” আমাদের অনুসন্ধান শুরু হয় মূলত এই ক্ষুব্দ অভিবাবকের বক্তব্যকে ঘিরে ।
আমরা অনুসন্ধানে নামি ১ লা ডিসেম্বর তারিখে কি ঘটেছিল মেডিক্যাল কলেজের এমবিবিএস এ ছাত্রী ভর্তি নিয়ে । তা বেড় করতে ।
হ্যা ঘটনা আসলে ঘটেছিল প্রথম দিনেই । ঘটনার বিস্তারিত জানতে প্রথম দিনে উপুস্থিত ভর্তি প্রার্থী , কয়েকজন অভিবাবক এবং উপস্থিত এমনদের খুজতে শুরু করলাম যারা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং তাদের কয়েকজনকে পেয়েও গেলাম আমরা ।
১ লা ডিসেম্বর থেকে ৫-ই ডিসেম্বর ২০১৯ ইং পর্যন্ত আমরা নোটিশ বোর্ডে কয়েকটি পত্রিকার ভর্তি কাটিং দেখলাম । তাতে ওই তারিখের মধ্যে জাতীয় মেধাক্রম অনুযায়ী ৪৫২৭ থেকে ৩৫৩২৪ রোল নম্বর পর্যন্ত ভর্তি আহব্বান করা হয় । কলেজটির মোট আসন ৯০ । ৪৫ দেশী ছাত্র এবং ৪৫ জন বিদেশী ছাত্রী ভর্তি করার কথা । কাকডাকা ভোর থেকে উপস্থিত হওয়া অভিবাবক এবং ছাত্রীরা বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভর্তি বিষয়ে অনিহা দেখতে থাকে বলে জানায় । বেলা ১১ টায়ও কর্তৃপক্ষের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে , ভর্তি বিষয়ে গড়িমসি হচ্ছে মনে করে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে উপস্থিতরা । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং আইওয়াশ করতে প্রথম দিন ১ লা ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে ভর্তি কমিটির ২/১ জন সদস্য ,কয়েকজন প্রিন্সিপ্যালের পোষ্য এবং ভাইসপ্রিন্সিপ্যাল সহোযোগী অধ্যাপিকা মাহাবুবা বেগমের উপস্থিতিতে ঘোষণা করা হয় ২০০০০ মেধাক্রমের মধ্যে যারা উপস্থিত তাদের নাম ,রোল ও স্বাক্ষর লিপিবদ্ধ করতে । কিন্তু পরক্ষণেই হৈ-চৈ কারীদের মধ্য হতে নামেমাত্র কয়েকটি আসনের বিপরীতে ( ১১ টি আসন চেহারা মেপে ) রোল সংগ্রহ করা হয় ।
অত:পর আনুমানিক বেলা সাড়ে বারোটায় আকসাত ঘোষণা করা হয় , উত্তরা মহিলা মেডিক্যাল কলেজের দেশী কোটায় এমবিবিএস ২০১৯/২০ বছরের ছাত্রী ভর্তির আসন আর খালি নেই । সেই সময় বঞ্চিত হচ্ছে মনে করে অভিবাবক এবং ভর্তিইচ্ছু ছাত্রীরা আবার হৈ-হুল্লা শুরু করে ক্ষেভ ঝাড়তে থাকে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ।
অতঃপর কলেজ অধ্যক্ষের চ্যালা বা দালালেরা রটিয়ে দেয় সিট নেই সব পূরণ হয়ে গেছে । বেলা বাড়ছে আন্দোলনে বিরতি দিয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে ভর্তিইচ্ছুরা । কলেজের দিনের কার্যক্রম বন্ধ হবে ঠিক তার আগ মূহুর্তে নাছরবান্দা অভিবাবক এবং ছাত্রীদের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে আগের মত ভর্তি কমিটির কয়েকজন সদস্য এবং অধ্যক্ষের পোষ্যরা এগিয়ে এসে ৩০০০০ হাজার মেধাক্রমের মধ্য হতে রোল আহব্বান করে । কিন্তু ততক্ষণে রণে ভংগ দিয়ে যে যার মত বাড়ী ফিরে গেছে ভর্তিইচ্ছুরা । উপস্থিত মাত্র ১২ জনকে তালিকায় অন্তঃভূক্ত করে ; ভর্তি কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করেন অধ্যক্ষ । আমরা থলের বিড়াল বেড় করতে , এই ঘটনার ভেতরে আরেকটি ঘটনার সূত্র পেয়ে অনুসন্ধান অব্যহত রাখি ।
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং – ২
ইতিমধ্যে আমাদের হাতে এসে জমা হয় , একটি অতিগোপন তালিকা বা তথ্যপত্র ।
তথ্য ও সূত্র – বিডি বুলেটিন
চলবে –